পরিবেশবান্ধব ভ্রমণ কী? জেনে নিন এর উপকারিতা
ঢাকা টুডে ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০২:৩৩ এএম
আমাদের নিজেদের ভ্রমণের ফলে পরিবেশের ওপর যেন কোনো প্রভাব না পড়ে। ছবি: ফ্রিপিক
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৈশ্বিক পর্যটনে ভ্রমণের যেসব ধারাকে স্বাগত জানানো হয়েছে, তার অন্যতম ইকো-ফ্রেন্ডলি ট্রাভেলিং বা পরিবেশবান্ধব ভ্রমণ। গ্রিন ট্রাভেল নামেও অনেকের কাছে পরিচিত এটি।
খুব ছোট ছোট অথচ ইতিবাচক উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রিন ট্রাভেল সম্পন্ন সম্ভব। যে সকল ট্যুর এজেন্সি এবং এয়ারলাইনস পরিবেশকে অগ্রাধিকার দেয়, তাদের কাছে স্থানীয় গণপরিবহন সেবা, স্থানীয় মালিকানাধীন হোটেলে থাকার মাধ্যমে সেখানকার সম্প্রদায়গুলোর উপকার সাধন, প্লাস্টিকের পরিবর্তে পুনর্ব্যবহারযোগ্য বোতল, কফির মগ ব্যবহার ইত্যাদি বিষয় পরিবেশবান্ধব ভ্রমণের অন্তর্গত।
এক কথায় পরিবেশের ওপর কোনো প্রভাব না ফেলে যে ভ্রমণ করা হয়, সেটিই পরিবেশবান্ধব ভ্রমণ। এই ভ্রমণের রয়েছে অনেক উপকারিতা।
অর্থপূর্ণ অভিজ্ঞতা
প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ আর সান্নিধ্য পাওয়াই এই ভ্রমণের উদ্দেশ্য। আমাদের ভ্রমণকালীন সময়েও প্রকৃতি যেন প্রকৃতির মতো থাকতে পারে, সে দায়িত্ব মানুষের হাতেই। ইকো-ফ্রেন্ডলি ট্রাভেলিংয়ে প্রকৃতির ওপর কোনো হস্তক্ষেপ করা হয় না। ফলে প্রকৃতির সৌন্দর্য খুব কাছ থেকে অনুভব করা যায়।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন
ভ্রমণের সময় আমরা পানির বোতল, বিস্কুট, চিপসের প্যাকেট, জুস ছাড়াও বিভিন্ন রকম প্লাস্টিকজাতীয় ও অপচনশীল দ্রব্যাদি সঙ্গে নিয়ে যাই। কিন্তু পরিবেশবান্ধব ভ্রমণ এই চর্চাকে নিরুৎসাহিত করে। ফলে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন থাকার পাশাপাশি আমাদের স্বাস্থ্যগত দিক ঠিক থাকে। তাছাড়া এ সময় বিভিন্ন রকমের অ্যাক্টিভিটিজে অংশ নে্য়ওর ফলে শরীর-মন চনমনে থাকে।
স্থানীয় জনগোষ্ঠীর উপকার
যে স্থানে ভ্রমণ করবেন, সেখানকার স্থানীয় জনপদের কৃষ্টি-কালচার সম্পর্কে জানতে এবং সম্মান প্রদর্শন করতে উদ্বুদ্ধ করে পরিবেশবান্ধব ভ্রমণ। এর মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতি এবং কম্যুনিটি উপকৃত হয়ে থাকে।
বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ
ভ্রমণে গিয়ে কোনোভাবেই উচ্চস্বরে গান বাজানো বা হৈ-হুল্লোড় করা যাবে না। এতে বন্যপ্রাণিরা ভয় পেয়ে আবাসস্থল ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যেতে পারে। এ সময় বিপন্ন প্রাণীর চামড়া বা শেল থেকে তৈরি কোনো কিছু ক্রয় করা থেকেও বিরত থাকতে হবে। এভাবে বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ এবং প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় ভূমিকা রাখে পরিবেশবান্ধব ভ্রমণ।
তথ্যসূত্র: জি নিউজ