১৮.৩ ওভার পর্যন্ত টিকল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। তাসকিনের বলে পয়েন্টে মিরাজকে ক্যাচ দিলেন আকিল। জয়ের আনন্দে গর্জে উঠলেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা। ২৭ রানের এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজও যে নিজেদের করে নিল বাংলাদেশ!
৩১ বলে ৩১ রানে আউট হওয়া আকিলের জন্য সান্ত্বনা। সাধ্যমতো লড়াই করেছেন। আর বাংলাদেশের বোলাররা? ১২৯ রানের পুঁজি নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শক্তিশালি ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে এই জয় এক অবিষ্মরণীয় বোলিংয়ের হিরণ্ময় স্মৃতি হয়ে থাকবে বহুকাল।
২০১৮ সালের পর টি-টোয়েন্টিতে এই প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। দেশের বাইরে ২০২২ সালের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ।
এই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেট নেওয়ার শুরুটা করেছিলেন তাসকিন। শেষও করলেন তিনিই। ৩.৩ ওভারে ১৬ রানে ৩ উইকেট! শুধু তাসকিন কেন তানজিম (৪-১-২২-২), রিশাদ (৩-০-১২-২), মেহেদী (৪-১-২০-২), হাসান (৩-১-২৩-১) দারুণ বোলিং করেছেন। টি-টোয়েন্টিতে এক ওভার মেডেনই যেখানে দারুণ, বাংলাদেশ আজ সেখানে টানা কয়েক ওভার উইকেট মেডেন নিয়েছে!
বাংলাদেশের ১২৯ রানের পুঁজিতে খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ ১৭ বলে অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা শামীম হোসেন ম্যাচ শেষে সম্প্রচারকদের বলেছেন, ‘খুব ভালো লাগছে। দীর্ঘ সময় পর জাতীয় দলে ফিরেছি। ভালো লাগছে।’ দলে নিজের ভূমিকা নিয়ে বললেন, ‘আমার ভূমিকাটা ফিনিশারের। বল মারার চেষ্টা করি।’ অ্যাঙ্গেল ব্যবহার করে অপ্রচলিত জায়গা দিয়ে রান বের করা প্রসঙ্গে শামীম বলেছেন, ‘ফিনিশ করা নিয়েই ভাবি। গত কয়েক মাস ওসব শট নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছি।’
টেস্ট সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্রয়ের পর ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ তে ধবলধোলাই হয়েছিল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে বাংলাদেশ এখন সেই ধবলধোলাইয়ের শোধ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। শুক্রবার সিরিজের শেষ ম্যাচ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১২৯/৭ (শামীম ৩৫*, মিরাজ ২৬, জাকের ২১, সৌম্য ১১, মেহেদী ১১, তানজিম ৯; মোতি ২/২৫, আকিল ১/১৬, আলজারি ১/২১, ম্যাকয় ১/৩২, চেজ ১/৮)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৮.৩ ওভারে ১০২ (চেজ ৩২, আকিল ৩১, চার্লস ১৪, কিং ৮,পাওয়েল ৬, পুরান ৫; তাসকিন ৩/১৬,রিশাদ ২/১২, মেহেদী ২/২০, তানজিম ২/২২, হাসান ১/২৩)।
ফল: বাংলাদেশ ২৭ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: শামীম হোসেন (বাংলাদেশ)
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ২-০ তে এগিয়ে।