Logo
Logo
×

ধর্ম

রজব মাসে রমজানের প্রস্তুতিমূলক তিন আমল

Icon

ঢাকা টুডে ২৪ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩১ পিএম

রজব মাসে রমজানের প্রস্তুতিমূলক তিন আমল

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রজব মাস থেকেই রমজান মাসকে স্মরণ করতেন এবং এ মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নিতে শুরু করতেন। এখানে হাদিসের আলোকে রমজানের প্রস্তুতিমূলক তিনটি আমল তুলে ধরা হলো—

আইয়ামে বিজের রোজা

আইয়াম হলো আরবি ইয়াওম শব্দের বহুবচন। যার অর্থ হলো দিনগুলো। আর বীজ শব্দের অর্থ সাদা, শুভ্র। আইয়ামে বীজ দ্বারা চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ বোঝানো হয়। এই তারিখগুলোতে জ্যোৎস্নায় রাতগুলো শুভ্র ও আলোকিত হয়। বিশেষত মরুভূমিতে এটি বেশি দৃষ্টিগোচর হয়। এ কারণে তারিখগুলোকে একসঙ্গে বোঝাতে ‘আইয়ামে বীজ’ নামকরণ করা হয়েছে।

রাসুল সা. আইয়ামে বীজে (আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে) রোজা রেখেছেন এবং সাহাবিদের রোজাগুলো রাখতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। হজরত আবু যার রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা বলেন, হে আবু যার! যখন তুমি মাসের মধ্যে তিন দিন রোজা রাখবে; তবে ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখবে।’(তিরমিজি, নাসাঈ, মিশকাত)

তবে এই তারিখে রাখা সম্ভব না হলে মাসের যেকোন তারিখে রাখা যাবে।  আয়েশা রা. বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাসের যেকোন দিনে তিনটি সিয়াম রাখতেন। (মুসলিম হা/২৮০১; মিশকাত হা/২০৪৬)

প্রত্যেক মাসে ৩টা করে রোজা পালন করলে সারা বছর নফল রোজা পালনের সমান সওয়াব পাওয়া যায়। আব্দুল্লাহ ইবনে আ’মর ইবনে আ’স (রা.) হতে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রতি মাসে তিনটি করে রোজা পালন, সারা বছর ধরে রোজা পালনের সমান’। (বুখারি শরীফ)

সপ্তাহের দুই দিনের রোজা

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেসব নফল ইবাদত করতেন তার অন্যতম একটি হলো- সপ্তাহের দুই দিন অর্থাৎ সোম ও বৃহস্পতিবারের রোজা।

এই দুই দিনের রোজা সম্পর্কে হজরত আবু কাতাদা আনসারি রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সোমবার দিনে রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এই দিন আমি জন্ম নিয়েছি, আর এদিনই আমার উপর কোরআন নাজিল হয়েছে। (মুসলিম, হাদিস, ২৮০৭; ইবনে খুজাইমা, হাদিস, ২১১৭; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস, ২২৫৫০; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস, ২৪২৮)

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সোমবার ও বৃহস্পতিবার আল্লাহর কাছে আমল উপস্থাপন করা হয়। তাই রোজা থাকা অবস্থায় আমার আমল উপস্থাপন করা হোক— এটা পছন্দ করি।’ (তিরমিজি, হাদিস, ৭৪৭; সুনানে নাসায়ি, হাদিস, ২৬৬৭)

রাবিআ ইবনুল গাজ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি আয়শা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-এর কাছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওযাসাল্লাম-এর রোজা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন। তখন তিনি জবাবে বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওযাসাল্লাম সোমবার ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখার ব্যাপারে খুবই মনোযোগী ছিলেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস, ১৭৩৯; ইবনে হিব্বান, হাদিস, ৩৬৪৩)

রজব মাসের দোয়া

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রজব মাসকে খুবই গুরুত্ব দিতেন। রজবের চাঁদ দেখা গেলেই তিনি রমজানের প্রস্তুতিমূলক কিছু বিশেষ আমল শুরু করতেন। এ মাস শুরু হলে তিনি এই দোয়া পড়তেন,

আরবি :  اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي رَجَبٍ وَشَعْبَانَ وَبلغنا رَمَضَانَ

বাংলা উচ্চারণ :

‘আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা, ওয়া বাল্লিগনা রমাদান।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসকে বরকতময় করে দিন। আর আমাদের রমজান মাস পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ ( সুনানে নাসায়ি ও মুসনাদে আহমাদ)।

ঢাকা টুডের একটি প্রকাশনা

অনুসরণ করুন