Logo
Logo
×

ধর্ম

ইসলাম

বিপদের সময় বলতে হবে

Icon

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৭ পিএম

বিপদের সময় বলতে হবে

সমস্যা দেখা দিলে আমরা বলি 'ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন'। প্রকৃত বিশ্বাসীরা শুধু এই বাক্যটি বলেন না, বরং মনে মনে বিশ্বাস করেন যে আমরা আল্লাহর অধীনে। আমরা নিশ্চিতভাবেই একদিন তাঁর কাছেই ফিরে যাব, অর্থাৎ চিরকাল এ পৃথিবীতে থাকা যাবে না।

যখন বিশ্বাসীরা বিপদে পড়ে, তাঁরা 'ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন' পাঠ করেন। এ দোয়াটি পাঠ করলে সওয়াব পাওয়া যায়, আর অর্থের প্রতি মনোযোগ রেখে পাঠ করলে, বিপদেও শান্তি পাওয়া যায় এবং বিপদ থেকে মুক্তি সহজ হয়ে যায়।

এই দোয়াটি বিপদে উচ্চারণ করে বান্দা আল্লাহর ফয়সালা মেনে নেন এবং আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখেন। তাঁরা এই বিপদে সবর করেন এবং আল্লাহর কাছে তাঁর প্রতিদান প্রত্যাশা করেন। এই দুটি বাক্য ইমানের মৌলিক সাক্ষ্য দেয়, এবং তাই এর ফজিলত অনেক।

ইন্না লিল্লাহ পড়ার প্রয়োজনীয়তা

আল্লাহ বলেন, আমি তোমাদেরকে ভয়, ক্ষুধা এবং ধন, প্রাণ বা ফল–ফসলের ক্ষতিতে পরীক্ষা করব। যারা ধৈর্য ধরে, তাদের জন্য সুখবর। যারা বিপদে পড়ে বলে, [ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন] ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চিতভাবে আমরা তাঁরই দিকে ফিরে যাব।’ এই লোকদের প্রতিপালকের কাছ থেকে আশীর্বাদ ও দয়া বর্ষিত হয়, এবং এরাই সৎ পথপ্রাপ্ত। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৫৫-১৫৭)। এই আয়াতগুলো স্পষ্টভাবে বলে দেয় কারা, কখন এবং কেন ইন্না লিল্লাহ পড়বেন।

বিপদের সময় দোয়া পাঠ করা

উম্মে সালামা (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)–কে বলতে শুনেছি, কোনো মুসলিমের ওপর বিপদ এলে যদি সে বলে, আল্লাহ যা হুকুম করেছেন—ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন (অর্থাৎ আমরা আল্লাহরই জন্য এবং তাঁরই কাছে ফিরে যাব) এবং এই দোয়া পড়ে, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি ওয়া আখলিফলি খাইরাম মিনহা (অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাকে আমার মুসিবতে সওয়াব দাও এবং এর বিনিময়ে এর চেয়ে উত্তম কিছু দাও), তাহলে মহান আল্লাহ তাকে এর চেয়ে উত্তম কিছু দান করেন।

উম্মে সালামা (রা.) বলেন, আবু সালামা যখন ইন্তেকাল করেন, আমি মনে মনে ভাবলাম, আবু সালামা থেকে উত্তম মুসলিম আর পাব না। এরপর আমি দোয়া পড়লাম, এবং মহান আল্লাহ আবু সালামার স্থলে রাসুল (সা.)–এর মতো স্বামী দান করেছেন। উম্মে সালামা (রা.) বলেন, আমার কাছে রাসুল (সা.) বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য হাতিব ইবনে আবু বালতা (রা.)–কে পাঠালেন। আমি বললাম, আমার একটি মেয়ে আছে এবং আমার জিদ বেশি। তখন রাসুল (সা.) বললেন, আমি তার মেয়ের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির জন্য এবং তার জিদ দূর করার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করব। (মুসলিম: ৯১৮)

ঢাকা টুডের একটি প্রকাশনা

অনুসরণ করুন