প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আশাহত হয়েছি: মির্জা ফখরুল
ঢাকা টুডে ২৪ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪১ পিএম
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যে আশাহত হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, অনেকে আশান্বিত হয়েছেন। আমি একটু আশাহত হয়েছি। আমরা আশা করেছিলাম, প্রধান উপদেষ্টা তার সমস্ত প্রজ্ঞা দিয়ে সমস্যা চিহ্নিত করে নির্বাচনের একটা রূপরেখা দেবেন।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির উদ্যোগে ‘মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি, কারণ নির্বাচন দিলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। বিএনপি ক্ষমতায় যায় বা না যায় সেটা বড় কথা নয়। কিন্তু আজকে যারা ক্ষতি করবার চেষ্টা করছে, তারা তখন পিছিয়ে যেতে বাধ্য হবে।
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংস্কার আমরা চাই না শুধু। আমরা সংস্কার শুরু করেছি। সংস্কার আমরা অবশ্যই চাইবো এবং সংস্কার আমরা করব। আপনারা দয়া করে জিনিসটা যেভাবে সুন্দর হয়, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় সেভাবে এগিয়ে যান। আমরা এখনো পর্যন্ত আপনাদের কোনো বাধা সৃষ্টি করিনি। উল্টো আপনাদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি।
শাসন ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই দিকে একটু লক্ষ্য দিতে হবে। এমনভাবে দেশ চালান যেন দেশের মানুষ স্বস্তি পায়, শান্তি পায়। স্বস্তির কোনো কারণ নাই। দ্রব্যমূল্য যেভাবে বেড়েছে, তাতে তো শান্তি পাওয়ার কোনো কারণ নাই। তাও দেশের মানুষ মেনে নিচ্ছে। তাদের প্রত্যাশা আপনারা তাদের সুন্দর একটা জিনিস দেবেন। সেটাকে দৃশ্যমান করেন যে, ব্যবস্থা নিচ্ছেন। সিন্ডিকেটগুলোকে ভাঙার চেষ্টা করেন।
সংস্কার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংস্কারের জন্য এই সরকার অনেক কমিশন গঠন করেছে। তাদের প্রতি আমাদের এবং জনগণের আস্থা আছে। কিন্তু আমরা চাইব, সেটা দ্রুত শেষ করে নির্বাচনকেন্দ্রিক যে সংস্কার ব্যবস্থা, সেটির মাধ্যমে আমরা আলোর দিকে এগিয়ে যাব।
নির্বাচন যত দেরি হবে তত বিতর্ক সৃষ্টি হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেরি হলে বাংলাদেশের শত্রুরা সংগঠিত হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আরও দুই বছর আগেই ৩১ দফা সংস্কারের কথা বলেছি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আরও আগে থেকেই এই সংস্কার নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাই আমরা অবশ্যই সংস্কার চাই এবং সেই সময়টা যেন অবশ্যই যৌক্তিক সময়ের মধ্যে হয় এবং যেন মনে না করে যেন তারাই ক্ষমতায় থেকে যাবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে সভায় দলটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।