উপদেষ্টা নিয়োগে সতর্ক ভূমিকা পালন করা উচিত : মির্জা ফখরুল
ঢাকা টুডে ২৪ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩১ পিএম
ঠাকুরগাঁও কালিবাড়ী এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাজনৈতিক দলের মতামতে উপদেষ্টা নিয়োগের প্রচলন নেই। এটি প্রধান উপদেষ্টার এখতিয়ার। তবে যাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হবে বা হচ্ছে তাদেরকে নিয়ে যেন বির্তক না হয়। সেই বিষয়টি লক্ষ্য করা উচিত তাদের নিজেদের স্বার্থে। তাই উপদেষ্টা নিয়োগে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক ভূমিকা পালন করার তাগিদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় ঠাকুরগাঁও কালিবাড়ী এলাকায় তার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। বর্তমান সরকারকে সফল করার দায়িত্ব সকলের উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আন্দোলন করেছি। আমরা চাই না সরকার ব্যর্থ হয়ে এই আন্দোলন ব্যর্থ হয়ে যাক। যারা দেশ ও গণতন্ত্রের শত্রু, তারা যেন আবার কোনও সুযোগ না পায়, প্রধান উদ্দেশ্য গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা।
নির্বাচন প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, জনগণ চায় সকলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন। নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার জন্য যতো রকমের সংষ্কার, তা করা প্রয়োজন। তাই আমরা বলেছি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সহ দেশের অর্থনৈতিক বিষয়ে সরকারকে গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, চাল, ডাল, আলু পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এটা সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টকর। তাই সরকারকে এইদিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। দ্রব্যমূল্যের দাম কমানোর জন্য যা যা পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন, তা এই সরকার গ্রহণ করবে বলে মনে করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আন্দোলনে ৬৩টি রাজনৈতিক দলের অংশহণে চুড়ান্ত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বিজয় পেয়েছি। এখন সবচেয়ে প্রয়োজন জাতি হিসেবে সহনশীন হওয়া। ১৭ বছরের এতো বড় জঞ্জাল ১৭ দিন বা ১৭ মাসেও সরানো সম্ভব না। তাই সরকারকে সময় দিতে হবে। তাদের সবগুলো সংষ্কারে হাত দেওয়ার খুব বেশি প্রয়োজন নেই।
নির্বাচিত যে পার্লামেন্ট আসবে তার সেই কাজ গুলো করবে। এই সরকারের মূলত দায়িত্ব নির্বাচনের জন্য লেবেইল ফিল তৈরি করা ও সকলে যেন ভোট দিতে পারে, অংশ্রহণ করতে পারে, সেই বিষয়ে কাজ করা এবং আওয়ামী লীগ ভোটের যে ব্যবস্থা করে গিয়েছিল সেগুলো নির্মূল করে নিরপেক্ষ লোকজনকে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে বসানো। বিচার বিভাগ ও অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে নিরপেক্ষ করা। নির্বাচনকে সুষ্ঠ করার জন্য এটিই হচ্ছে প্রধান কাজ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এর আগে তিনি ঠাকুরগাঁও শহরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেন।