ঢাকা মহানগরে ডেঙ্গু আক্রান্তদের জন্য চিকিৎসা সেবা ও রক্তের জন্য হটলাইন এবং ওয়েবসাইট চালু করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং শেষে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, একটি গণবিপ্লব সংঘটিত হওয়ার পরে এ সরকার এসেছে। এ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদের উচিত ছিল ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া।’

রিজভী বলেন,  সরকারের উপদেষ্টারা নানা ধরনের পদক্ষেপের কথা বলে যাচ্ছেন। কিন্তু মানুষের জীবন বাঁচাতে যে আরও তৎপর হওয়া দরকার তেমনটি পরিলক্ষিত হয়নি। এটা দুর্ভাগ্যজনক। ইতোমধ্যে সরকারিভাবেই ২০০ অধিক মানুষ মারা গেছেন ডেঙ্গুতে এবং প্রতিদিন ১০ জন, ১২ জন করে মারা যাচ্ছেন। ডেঙ্গু তো প্রতিরোধ্য। এটি প্রতিরোধের জন্য আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। এখন তো আর শেখ হাসিনার আমল না। তার ভাতিজা তাপস সিটিতে ডেঙ্গু ওষুধ ব্যবহারের জন্য যে রুম বরাদ্দ ছিল সেটি তো অন্য কাজে ব্যবহার করেছে। তারা ছিল হরিলুটের সরকার।’

যেকোনো মহামারি থেকে মানুষের জীবনকে বাঁচাতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সে বিষয়ে আমাদেরকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এটি যদি না করা যায় তবে মানুষের মধ্যে এক ধরনের অনাস্থা তৈরি হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী তাবিথ আউয়াল ও দক্ষিণের ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন এবং বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রফিকুল ইসলাম সমন্বিত চিকিৎসক টিম ঢাকা মহানগরে ডেঙ্গু মোকাবেলায় দলের সামর্থ্য অনুযায়ী যতটুকু উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার, ততটুকু তারা করেছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির এই মুখপাত্র। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার লড়াইয়ে যারা হতাহত ও শহীদ হয়েছেন তাদের ও তাদের পরিবারের নিরবে নিভৃতে খোঁজখবর রাখছেন বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তিনি ঢাকঢোল পেটাননি।’

অনুষ্ঠানে বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ওয়েবসাইটে ব্লাড ডোনারদের নম্বর দেওয়া আছে, যাদের প্রয়োজন হবে ফোন দিলেই ডোনাররা সেখানে চলে যাবেন। এ কার্যক্রম যতদিন পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকবে, ততদিন পর্যন্ত চালিয়ে যাবে বিএনপি।’

এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দিতাকারী প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও দক্ষিণের ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন প্রমুখ নেতারা।