Logo
Logo
×

রাজনীতি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা সহযোগিতা করতে চাই : আমান

Icon

ঢাকা টুডে ২৪ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১৬ পিএম

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা সহযোগিতা করতে চাই : আমান

জাতীয় প্রেসক্লাবে ৯০ এর ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের রূপকার সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা সহযোগিতা করতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সদস্য আমান উল্লাহ আমান।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ৯০ এর ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের রূপকার সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির মৃত্যুবার্ষীকি উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা সহযোগিতা করতে চাই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন- আমরা এই সরকারকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করি এবং করব, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য। আর এই নির্বাচন যত দ্রুত সম্ভব হতে হবে।

তিনি বলেন, ‘তাদের (অন্তর্বর্তী সরকারের) কারণে যদি আজকে মুখ থুবড়ে পরে তাহলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিলম্ব ঘটতে পারে। তাই আমরা আশা করব এ সরকার যে কমিশন করেছেন তার রিপোর্ট পাওয়ার সাথে সাথে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ যাদেরকে রায় দিবে তাদের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে এবং দেশ শান্তিপূর্ণভাবে চলবে। পাশাপাশি দেশের যে সকল সমস্যার জট বেঁধে আছে তা সমাধান করবে। একই সঙ্গে ছাত্র জনতা এবং দেশের মানুষের যে দাবি তা পূরণ হতে হবে এবং সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’

সাগর রুনির বিচার নিয়ে আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘অবিলম্বে সাগর রুনির হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। এবং এই বিচার দ্রুত করতে হবে। এতদিন সাগর রুনির হত্যাকাণ্ডের বিচার বিলম্ব হওয়ার কারণ একমাত্র একটাই, আওয়ামী লীগ সরকার এখানে জড়িত ছিল। তখন প্রতিবেদন জমা হয়নি, বিলম্ব হয়েছে। কিন্তু আজকে এই বিচার বিলম্ব হওয়ার কথা নয়।’

তিনি বলেন, ‘অনেক বছর আমরা আন্দোলন করেছি, সংগ্রাম করেছি। গণতন্ত্র একবার এনেছে জিয়াউর রহমান, আরেকবার এনেছে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। আর দীর্ঘ ১৬ বছর দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন করে সর্বশেষ ছাত্রজনতার গণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি গণতন্ত্র। গণতন্ত্র যেভাবে অর্জিত হয়েছে তা আমাদের ধরে রাখতে হবে। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের সকলকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’

সাইফুদ্দিন মনিকে স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘সাইফুদ্দিন মনির স্বপ্ন তখনই পূরণ হবে যখন জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। সকলের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় আমরা দ্রুত একটি গণতন্ত্র ফিরে পাব, দ্রুত ভোটাধিকার ফিরে পাব এবং দ্রুত একটি জনগণের সরকার পাব। যেখানে এই দেশের সরকার পরিচালিত হবে জনগণের মাধ্যমে।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবীব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট যেভাবে দেশে দুঃশাসন চালিয়েছে সেটা আর বলতে চাইনা। তারা দেশটাকে জেল বানিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাকে চেতনাকে রাস্তায় মিশিয়ে ফেলছে। শেখ হাসিনা মনে করেন দেশটা তার বাবার সম্পত্তি। যেটা মনে করতেন তার বাবা শেখ মজিবুর রহমান। গত ১৬ বছর বিএনপির নেতাকর্মীরা জেল জুলুম হত্যার শিকার হয়েছে। সেখানে জামায়াতও অনেক ত্যাগ শিকার করেছে। সেখানে হেফাজত ইসলামীও অবদান রেখেছে।’

আওয়ামী লীগের সাথে কোন আপোষ হবেনা জানিয়ে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘যেকোন আন্দোলনে ৯০ এর গণঅভ্যুত্থান একটা অনুপ্রেরণা রয়েছে। জুলাই আগস্টে দেড় হাজার ছাত্র জনতাকে হত্যা করেছে। তাদের সাথে কোন আপোষ হবেনা। আমরা প্রয়োজন হলে আমরা রাস্তায় নামব।’

আলোচনা সভার শুরুতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সাইফুদ্দিন মণির জন্য দোয়া করা হয়। আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন চেয়ারপারসন উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবীব, দলটির জলবায়ু বিষয়ক সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ডাকসুর সাবেক জিএস নাজিমুদ্দিন আলম, জাতীয়তাবাদের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।

ঢাকা টুডের একটি প্রকাশনা

অনুসরণ করুন