সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে নববর্ষের সব অনুষ্ঠান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৯ পিএম
বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন উপলক্ষে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে রয়েছে—উৎসব ঘিরে যত আয়োজন সব শেষ করতে হবে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে। ফেসবুকসহ সমাজমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হলে আইনি পদক্ষেপ নেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ছাড়া ফানুস বা আতশবাজি ফোটানো এবং ভুভুজেলা বাজানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে গতবারের মতোই।
বুধবার (২৭ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। ১৪ এপ্রিল উদযাপিত হবে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১-এর প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ।
যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে
- দেশব্যাপী বর্ষবরণ, বৈশাখী মেলা, ক্রীড়া-সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও আয়োজকদের সমন্বয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
- রমনার বটমূল, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল, রবীন্দ্রসরোবরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুইপিং, ডগস্কোয়াডসহ বিশেষ নিরাপত্তা নেওয়া হবে। এসব অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রয়োজনীয় ফোর্স ও গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ নজরদারি থাকবে।
- বাংলা নববর্ষ উদযাপন নিয়ে ফেসবুকসহ সমাজমাধ্যমে যারা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
- বাংলা একাডেমি ও বিসিক কর্তৃক বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নববর্ষের মেলায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
- রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল, রবীন্দ্রসরোবরসহ দেশে যেসব অনুষ্ঠান হবে তা সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে।
- বর্ষবরণের যেকোনো অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নিজস্ব নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকতে হবে। নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমন্বয় করে নিরাপত্তা প্রদান করবে।
- নববর্ষে কূটনীতিকপাড়াসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও স্থাপনার বিশেষ নিরাপত্তা প্রদান করা হবে।
- নববর্ষ উদযাপনকালে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের সব অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অগ্নিনির্বাপক গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্সসহ ফায়ার সার্ভিস ও মেডিকেল টিম থাকবে।
- বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে ইভটিজিং, ছিনতাই/পকেটমারসহ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট ও গোয়েন্দা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।
- বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো নিষিদ্ধ থাকবে।
- নববর্ষে দেশের কারাগারগুলোয় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন থাকবে।
- কোনো ধরনের ফানুশ বা আতশবাজি ফোটানো যাবে না।
- বাংলা নববর্ষে মাদকের অপব্যবহার রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।