ছাত্রলীগ সভাপতি অতিথি, টকশো স্থগিতের ঘোষণা খালেদ মুহিউদ্দীনের
ঢাকা টুডে ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৭ এএম
নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতিকে নিয়ে অনুষ্ঠিতব্য টকশো স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন আমেরিকা প্রবাসী সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন। বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এই ঘোষণা দেন তিনি। এছাড়া ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ ফেসবুক পেজ থেকেও একই ঘোষণা প্রচার করা হয়।
খালেদ মুহিউদ্দীন ফেসবুক পোস্টে ঘোষণা শিরোনামে লেখেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এখন নিষিদ্ধ সংগঠন। একাধিক আইনজীবীর পরামর্শ মতে, বাংলাদেশের দিক থেকে ছাত্রলীগের কারও বক্তব্য প্রচার আইনত ঠিক হবে না। এই বিবেচনায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সভাপতির অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হলো।’
আমেরিকা থেকে পরিচালিত সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীনের সঞ্চালনায় ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ টকশোতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে অতিথির করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে নিয়ে আগামীকাল ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় ওই টকশো আয়োজনের কথা ছিল।
এর আগে আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে খালেদ মুহিউদ্দীনের টকশোর বিষয়টি টেনে আনেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক মো. সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ পৃথক ফেসবুক পোস্টে এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে নিয়ে খালেদ মুহিউদ্দীন টকশো করলে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা করলেন কি না, সে আত্ম-জিজ্ঞাসার কথা আমরা বলব।’
খালেদ মুহিউদ্দীনের টকশোতে সাদ্দাম হোসেনকে অতিথি করার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুকে লেখেন, ‘খালেদ মুহিউদ্দীন ভাই, এর পূর্বে কয়টা নিষিদ্ধ সংগঠনের লিডারদের সাথে টকশো করেছেন? এটা আমাদের ২ হাজারের অধিক শহীদের সাথে বেঈমানি, অর্ধ-লক্ষ রক্তাক্ত ভাইবোনের রক্তের সাথে বেঈমানি ৷’
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুকে লেখেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠনের সভাপতিকে প্রমোট করার মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের শহীদ ও জাতীয় বিপ্লব ও সংহতির সাথে প্রতারণা করা হলো।’
প্রসঙ্গত,
গত ২৩ অক্টোবর রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে আওয়ামী
লীগের অন্যতম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়। তারও আগে বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে
সরকারকে সময় বেঁধে দেয়।