এতে করে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র দিয়ে কাপ্তাই হ্রদ থেকে প্রতি সেকেন্ডে ৯৮ হাজার কিউসেক এবং বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য টারবাইন ঘুরিয়ে প্রতিদিনের ধারাবাহিক ৩২ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফূলী নদীতে ফেলানো হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন কর্ণফূলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
এদিকে পানির তীব্র স্রোতের ফলে রাঙামাটির চন্দ্রঘোণা হয়ে রাজস্থলী যাওয়ার একমাত্র ফেরী চলাচল সীমিত করা হয়েছে। রাঙামাটির সড়ক বিভাগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সারাদিন পানির স্রোত তীব্র থাকলে ফেরী চলাচল বন্ধ রাখা হবে।
এদিকে, ভারতের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে নেমে আসা পানিতে কয়েকদিন ধরেই কাপ্তাই হ্রদের টইটুম্বুর অবস্থায়। প্রতিদিনই রাঙামাটির নিন্মাঞ্চলে পানিতে বন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধিতে রাঙামাটির অন্তত সোয়া লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে।
জেলার ১৫ হাজারের মতো কৃষক তাদের কৃষিজ প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্র নিশ্চিত করেছে।
রাঙামাটি শহরের কাপ্তাই হ্রদের তীরবর্তী এলাকাগুলো বসবাসরত কয়েক হাজার পরিবারের বসত ঘরে দুই থেকে তিন ফুট পর্যন্ত পানি ঢুকেছে। এতে করে মানবেতর জীবন যাপন করছে ভূক্তভোগী দূর্গত মানুষেরা।
ইতিমধ্যেই রাঙামাটির নিন্মাঞ্চলে বসবাসরত জলবন্দি প্রায় লক্ষাধিক মানুষ বন্যায় দূর্গত হওয়ার পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগে।