দেশে বিয়ে না করা পুরুষের সংখ্যা নারীদের তুলনায় বেশি। ছবি: সংগৃহীত
দেশে বিয়ে না করা পুরুষের সংখ্যা নারীদের তুলনায় বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশ করা বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স ২০২৩ এর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, কখনও বিয়ে হয়নি দেশে এমন পুরুষের সংখ্যা ৩৫ দশমিক ৮ শতাংশ। আর নারীর সংখ্যা ২১ দশমিক ৭ শতাংশ।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে বিবাহিত পুরুষের সংখ্যা ৬২ দশমিক ২ শতাংশ আর নারী ৬৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
২০২২ সালেও কখনও বিয়ে হয়নি এমন পুরুষের সংখ্যা ছিল একই অর্থাৎ ৩৫ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২১ সালে ছিল ৩৭ দশমিক ৫, ২০২০ সালে ৩৮ দশমিক ৩ আর ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ছিল ৩৮ দশমিক ৯ শতাংশ।
অন্যদিকে, কখনও বিয়ে হয়নি এমন নারীর সংখ্যা ২০২২ সালে ছিল ২১ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এ সংখ্যা কিছুটা কমেছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালে কখনও বিয়ে হয়নি এমন নারীর সংখ্যা ছিল ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ, ২০২০ সালে ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ আর ২০১৯ সালে ছিল ২৫ দশমিক ১ শতাংশ।
একই বছর বিপত্নীক, তালাকপ্রাপ্ত ও দাম্পত্য বিচ্ছিন্ন পুরুষের সংখ্যা ২ শতাংশ, নারী ১২ দশমিক ৭ শতাংশ।
প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়েছে, ২০২২ সালে দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭২ দশমিক ৪ বছর, যা ২০২৩ সালে কমে হয়েছে ৭২ দশমিক ৩ বছর।
এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ১ দশমিক ৪০ শতাংশ। প্রতি হাজার জনসংখ্যায় স্থূল জন্মহার ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ১৯ দশমিক ৮ শতাংশ। আর স্থূল মৃত্যুহার ৬ দশমিক ১ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষা, কর্ম কিংবা প্রশিক্ষণে নেই–দেশে এমন তরুণের (১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী) সংখ্যা ২০২৩ সালে ৩৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ৪০ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
এ ছাড়া বেড়েছে সাক্ষরতার হার। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে এই হার ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ।