জলদস্যুদের বিরুদ্ধে সোমালি পুলিশের অভিযান শুরু
ঢাকা টুডে ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৪, ১১:৪০ পিএম
ভারত মহাসাগরে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি দখল করে জলদস্যুরা। ছবি: এক্সের সৌজন্যে
বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করা সোমালি জলদস্যুদের স্থলভাগের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অভিযান শুরু করেছে স্থানীয় পুন্টল্যান্ড পুলিশ। বর্তমানে জাহাজটির অবস্থান সোমালিয়ার জিফলে উপকূলে।
জলদস্যুরা যাতে সংগঠিত হতে না পারে এবং স্থলভাগ থেকে কোনো সাহায্য না পায়, সে লক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছে সোমালি পুলিশ। আর জাহাজের ওপাশে সমুদ্রে আন্তর্জাতিক বাহিনীর ঘেরাও রয়েছে।
নুগাল পুলিশের কমান্ডার আলি আহমেদ মারদুফ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন, জাহাজের জলদস্যুদের কাছে এখন দুটি পথ খোলা। তারা দেশে আত্মসমর্পণ করে সাজা ভোগ করতে পারে, অথবা আন্তর্জাতিক বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে বিদেশের কারাগারে যেতে পারে।
এছাড়া, জলদস্যুদের একটি ট্রাকও জব্দ করেছে পুলিশ। গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি দখল করে জলদস্যুরা।
এদিকে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর কাছে একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেভাল ফোর্স। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ২০ মিনিটে ইইউ নেভাল ফোর্সে এক্স দেওয়া একটি পোস্টে এমনটি জানায়। সর্বশেষ অবস্থান অনুযায়ী জাহাজটি এখন সোমালিয়ার গদভজিরান উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রেখেছে দস্যুরা।
সম্প্রতি বাংলাদেশি ওই জাহাজে থাকা দস্যুরা মালিকপক্ষের সঙ্গে প্রথমবারের মতো যোগাযোগ করেছে। মালিকপক্ষ জানিয়েছে, তারা নাবিকদের ছাড়িয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছে। এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা নাবিকদের মধ্যে চট্টগ্রামের বাসিন্দা আছেন ১১ জন। বাকিরা ফেনী, নোয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার। আক্রান্ত নাবিকদের সবাই সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এস আর শিপিংয়ের কর্মকর্তারা।
ইইউ নেভাল ফোর্স এক্সে একটি ভিডিও চিত্র এবং তিনটি স্থিরচিত্র প্রকাশ করেছে । তাতে দেখা যায়, তাঁদের যুদ্ধজাহাজটি বাংলাদেশের জিম্মি জাহাজের কয়েক নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছে। একটি হেলিকপ্টারকে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের ওপর দিয়ে উড়তেও দেখা যায়।
জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে বলেন, প্রথম যোগাযোগে মুক্তিপণ বিষয়ে কোনো আলাপ হয়নি। এখন যোগাযোগের সূত্র ধরে আলোচনা এগিয়ে যাবে। নাবিকদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ মাথায় রেখে দ্রুত সময়ে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার চেষ্টা চলছে।