ইসরায়েল ও ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার (২৭ নভেম্বর) ভোর ৪টায় এ যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে।

বুধবার সকালে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে, যেমনটা আশা করা হচ্ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে এ যুদ্ধবিরতি ৬০ দিন স্থায়ী হবে। চুক্তিটি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স ইসরায়েল ও লেবাননের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর আরবি ভাষার মুখপাত্র আভিচে আদ্রেই সমাজমাধ্যম এক্সের একটি পোস্টে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের অভ্যন্তরে তাদের অবস্থানে এখনও মোতায়েন রয়েছে।

বাইডেন বলেছেন, ‘লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে লড়াই শেষ হবে… এটি (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) স্থায়ীভাবে শত্রুতার অবসান ঘটানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।’

তিনি জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ইসরায়েল লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ‘ধীরে ধীরে তার সেনা প্রত্যাহার’ করবে। আর সেখানে লেবাননের সেনাবাহিনী ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে মোতায়েন করা হবে।বাইডেন আরও বলেছেন, ‘দ্রুতই উভয় পক্ষের বেসামরিক নাগরিকরা নিরাপদে তাদের নিজ নিজ সম্প্রদায়ের কাছে (বাড়িতে) ফিরে যেতে পারবে। আর তাদের বাড়িঘর, স্কুল, খামার, ব্যবসা ও জীবন পুনর্নির্মাণ শুরু করতে পারবে।’

এদিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৭০১ নম্বর প্রস্তাব অনুযায়ী হিজবুল্লাহকে লিতানি নদীর উত্তরে পিছু হটতে হবে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চল থেকে সরে যেতে হবে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি সশস্ত্র গোষ্ঠিটি।

লেবানন ও বিশ্বনেতারা যুদ্ধবিরতির বিষয়টিকে স্বাগত জানাচ্ছেন।