আইসিসির পরোয়ানা
তিন দেশে পা রাখলেই গ্রেপ্তার নেতানিয়াহু
ঢাকা টুডে ২৪ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৮ পিএম
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
গাজা যুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের ওপর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
আইসিসির এমন রায়ের পর নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করার ব্যাপারে নিজেদের সম্মতি জানিয়েছে ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও কানাডা। গাজা যুদ্ধের দায়ে মামলায় আইসিসির কাছে থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করবে কি না ইতালি, এ বিষয়ে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুইডো ক্রসেটো বলেন, নেতানিয়াহু সফর করলে তার দেশ তাকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য থাকবে।
রাজনৈতিকভাবে আইসিসির এই সিদ্ধান্ত পছন্দ না হলেও আদালত ওয়ারেন্ট জারি করায় ইতালি সেটি মানতে বাধ্য সেটাই এক রকম জানালেন ক্রসেটো। তার মতে, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টকে হামাসের মতো একই স্তরে রাখা আইসিসির ‘ভুল সিদ্ধান্ত’। তবে যেহেতু গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, কাজেই নেতানিয়াহু বা গ্যালান্ট যদি ইতালিতে আসেন, তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
গাজায় ১৩ মাসে ৪৪ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। যার বেশির ভাগ নারী ও শিশু। যার প্রেক্ষিতে আইসিসির এই রায়ের পর নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করতে সম্মত হয়েছে নেদারল্যান্ডস। ডাচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাসপার ভেল্ডক্যাম্প জানিয়েছেন, নেদারল্যান্ডস নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করবে যদি তিনি ডাচ মাটিতে পা রাখেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তার দেশের সমর্থন ও আইসিসির ওয়ারেন্ট মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ যে, প্রত্যেকেরই আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা উচিত। সংঘাতের শুরু থেকেই আমরা এটার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছি। আমরা আন্তর্জাতিক আইনের পক্ষে। আমরা আন্তর্জাতিক আদালতের সব বিধিবিধান ও রায় মেনে চলব।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈদেশিক নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল আইসিসির এই রায় নিয়ে জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা একটি আইনি বিষয়। রাজনৈতিক বিষয় নয়। ইইউয়ের ২৭টি সদস্য দেশ এবং অন্যান্য স্বাক্ষরকারী দেশগুলো যা মানতে বাধ্য। আইসিসির পরোয়ানাকে সমর্থন করেছেন মার্কিন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি বলেছেন, ‘এরা সবাই বেসামরিক মানুষদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে এবং অকল্পনীয় মানবিক দুর্ভোগের জন্য দায়ী।’ তিনি আরও বলেন, বিশ্ব যদি আন্তর্জাতিক আইনকে সমর্থন না করে, আমরা আরও বর্বরতার দিকে নামব।’
তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এই পরোয়ানাকে ‘অসঙ্গত’ ও ‘নজিরবিহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন। তার দাবি, ‘আইসিসি যা-ই বলুক, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে কোনো তুলনা হয় না। আমরা সবসময় ইসরায়েলের পাশে থাকব এবং দেশটির নিরাপত্তার প্রতি হুমকির বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান নেব।’