৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল তাইওয়ান, সুনামির আশঙ্কা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০০ পিএম
তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূতত্ত্ববিদদের মতে, বিগত ২৫ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প। ভূমিকম্পের পর দ্বীপজুড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ও ইন্টারনেট বিভ্রাটের খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার (৩ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫৮ মিনিটে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪। ভূমিকম্পের পর তিন দেশ তাইওয়ান, ফিলিপাইন ও জাপানে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এক তাৎক্ষণিক বিবৃতিতে জাপানের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বিশাল মাত্রার এ ভূমিকম্পের জেরে সুনামির আশঙ্কা রয়েছে তাইওয়ান ও প্রতিবেশী এ তিন দেশে। সুনামির সময় সাগরের ঢেউয়ের উচ্চতা ৩ মিটার (৯ ফুট) ছাড়িয়ে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্যমতে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পনটির উৎপত্তিস্থল। ৭টা ৫৮ থেকে পরবর্তী কয়েক মিনিটে অন্তত নয় দফা কম্পন হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে সুনামি সতর্কতা জারি করেছে তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ।
তাইওয়ানের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা সংস্থা তাইপে সিসমোলজি সেন্টারের পরিচালক উ শিয়েন ফু বিবিসিকে বলেন, পূর্ব উপকূলে সাগরতীর বা ডাঙা থেকে অল্প দূরে অর্থাৎ সাগরের অগভীর অংশে এ এপিসেন্টারের অবস্থান। এ কারণে তাইওয়ান ও প্রতিবেশী দেশগুলোয় পূর্ণমাত্রার কম্পন অনুভূত হয়েছে। গত ২৫ বছরে তাইওয়ানে যত ভূমিকম্প ঘটেছে, তার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়। ফিলিপাইনের ভূমিকম্প গবেষণা সংস্থা ইতোমধ্যে সুনামি সতর্কতা জারি করেছে।
স্থানীয় মিডিয়া আউটলেটের ফুটেজে দেখা যায়, রাজধানী তাইপেতে ভবনগুলো হিংস্রভাবে কাঁপছে। তাক থেকে জিনিসপত্র উড়ে আসা ও আসবাবপত্র ভেঙে ফেলার দৃশ্য দেখা যায়। ধসে পড়া আবাসিক ভবন থেকে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ভূমিকম্পের প্রভাবে যানবাহন ও দোকানের ভেতর জিনিসপত্রের ক্ষতি হয়েছে।
তাইওয়ানের খুব পাহাড়ি অভ্যন্তরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওগুলোয় দেখা যায়, ভূমিকম্পে বিশাল ভূমিধস হয়েছে। সেখানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। এর আগে, ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাইওয়ানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। তাতে ২ হাজার ৪০০ জন প্রাণ হারায় এবং প্রায় ৫ হাজার ভবন ধসে পড়ে।
সূত্র : বিবিসি