২৮ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতে কেজরিওয়াল
ঢাকা টুডে ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৬ পিএম
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির (এএপির) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ছবি: হিন্দুস্থান টাইমস
আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির (এএপির) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ২৮ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতে থাকবেন তিনি। শুক্রবার বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক কাবেরী বাওয়েজারের আদালতে মামলার শুনানির পর এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ১০ দিন হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল ইডি। ২৮ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতে তাঁকে জিজ্ঞাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ২৮ মার্চ তাঁকে আদালতে তুলতে বলা হয়েছে।
ইডি কর্মকর্তারা বলছে, গত এক বছরে তাঁর বিরুদ্ধে সমন জারি করা হলেও তিনি অনেকবারই হাজির হননি। এ জন্য তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ইডি আদালতে জানায়, অর্থ জালিয়াতি প্রতিরোধ আইনের নির্দিষ্ট ধারা মেনেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। জামিনের বিরোধিতা করে ইডি আরও জানায়, অপরাধে সরাসরি যুক্ত ছিলেন কেজরিওয়াল। কিছু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার জন্যই ওই আবগারি নীতি তাঁর দল প্রণয়ন করেছিল। আবগারি দুর্নীতির টাকা গোয়া ও পাঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনে কাজে লাগিয়েছিল আম আদমি পার্টি।
কেজরীওয়ালের পক্ষে আদালতে আইনজীবী বলেন, ‘ইডি একটা নতুন পন্থা নিয়েছে। আপনার কাছে এক জন সাক্ষী আছে, যিনি প্রথম বা দ্বিতীয় বয়ানে কেজরিওয়ালের নাম নেননি। আপনি তাঁকে গ্রেপ্তার করেন। তার পর তাঁর জামিনের তীব্র বিরোধিতাও করেন। শেষে দেখা যায় তিনি আপনাদের কথা মেনে নেন। তার পর যে বয়ান দেন তাতে কেজরিওয়ালের নাম ছিল।’
এর আগে আবগারি মামলায় সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেজরিওয়ালের বাসায় অভিযানে যান ইডির কর্মকর্তারা। ওই সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ও এএপি সাংসদ সঞ্জয় সিংহকে আগেই গ্রেপ্তার করেছে ইডি। আরেক মন্ত্রী রাজকুমার আনন্দের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।
এদিকে চলতি সপ্তাহেই লোকসভা নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করেছে ভারত। গত শনিবার এ ঘোষণা করেন দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। তিনি বলেন, মোট সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন হবে। প্রথম দফার ভোট হবে ১৯ এপ্রিল। আর সপ্তম দফার ভোট হবে ১ জুন। ৪ জুন ফল প্রকাশ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটারের নতুন নাম) রাজীব কুমার এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ২৬ এপ্রিল। তৃতীয় দফা ৭ মে, চতুর্থ দফা ১৩ মে, পঞ্চম দফা ২০ মে ও ষষ্ঠ দফার ভোট হবে ২৫ মে।