সাফা কবির
মাস দুয়েক পরই আসতে চলেছে ভালোবাসা দিবস। এই দিবস ঘিরে বিনোদন অঙ্গনে চলছে নানা ব্যস্ততা। তবে ভালোবাসা দিবস সামনে রেখে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন ছোটপর্দার তারকারা। কেননা, অন্য সময়ের থেকে এই সময়টায় নাটক নির্মাণ হয় বেশি। দেশে সাধারণত দুই ঈদের পর ভালোবাসা দিবসেই সবচেয়ে বেশি নাটক নির্মিত হয়।
ব্যস্ত সময় চলছে ছোটপর্দার জনপ্রিয় তারকা সাফা কবিরেরও। এমনিতে রোমান্টিক নাটকে সাফা কবিরের চাহিদা একটু বেশিই। ইতোমধ্যেই দুটি নাটকের কাজ শেষ হয়েছে। হাতে আছে আরও বেশ কয়েকটি নাটক। আগামীকাল থেকেই আবার টানা শুটিং শুরু করবেন।
তবে অনেকগুলো ভালোবাসার নাটকে অভিনয় করলেও গল্পের ভিন্নতা আছে বলে জানান এই অভিনেত্রী। নিজের সাম্প্রতিক কাজগুলো নিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক গল্পের মধ্য থেকে ব্যতিক্রমী কিছু গল্পে কাজ করেছি। দেখা যাবে একই দিনে কয়েকটি নাটক মুক্তি পেয়েছে। তাই দর্শকদের যেন একগুঁয়েমি না আসে, সেদিকে খেয়াল রেখেছি। দর্শকদের ভালো কিছু উপহার দিতে গল্পের ভিন্নতা দেখে কাজ করেছি। আশা করছি ভালোবাসা দিবসের নাটকগুলো দর্শক ভালোবেসেই গ্রহণ করবে।’
ভালোবাসা দিবসের কাজের কথা বলতে গিয়ে নিজের ভালোবাসা, ভালো লাগা নিয়েও কথা বলেছেন অভিনেত্রী। জানিয়েছেন, তিনি প্রেম-ভালোবাসা, সব জায়গাই আছেন।
প্রেম-ভালোবাসা সব জায়গায়ই তিনি আছেন জানিয়ে বলেন, ‘আমি তো আগে থেকেই প্রেমে ডুবে আছি। তবে সেটা কোনো ব্যক্তির নয়, আমি আমার পেশার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি। বর্তমানে আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি আমার কাজকে। সব শিল্পীই অবশ্য এ রকম কথাই বলেন। তাই ভাবতে পারেন, আমি একটা কিছু বলার দরকার হিসেবে বলছি। আসলে তা নয়, আমি মন থেকেই আমার পেশাকে খুব ভালোবাসি। এই পেশার প্রেমে আমি ডুবে আছি। তবে মানুষ প্রেম-ভালোবাসা বলতে যে জীবনসঙ্গীর কথাই বলেন, সেটাও আমি বুঝতে পারি। তবে এখনও আলাদা করে কাউকে নিয়ে ভাবার সময় পাইনি। তবে জীবনসঙ্গী থাকা মানুষের জীবনে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। আমিও এক দিন বিয়ে করব। আমারও জীবনসঙ্গী হবে। তবে সেটা কখন, এখনই বলতে পারছি না। কেননা, পার্টনার হওয়ার মতো এখনও কেউ আমার জীবনে আসেনি। যখন আসবে, তখন লুকিয়ে রাখব না, সবাই জানতে পারবেন।’
ইচ্ছা থাকলেও আপাতত বিয়ের ভাবনা নেই অভিনেত্রীর। নিজের বিয়ের বিষয়ে সাফা বলেন, ‘আপাতত এ বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে চাচ্ছি না। আমার কোনো তাড়াহুড়োও নেই। পরিবারের পক্ষ থেকেও চাপাচাপি নেই। আসলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা হলেই কেবল মনে হয়, আমার তো বিয়ে করা উচিত। কারণ, বিয়ে নিয়ে তারাই বেশি প্রশ্ন করেন। আমি মন থেকে কাজ ভালোবাসি। আমি এখানে কাজ করতে পেরে নিজেকে ভীষণ ভাগ্যবান মনে করছি। আমার কাছে মনে হয়, এখানে কাজ করার মাধ্যমে জীবনে অনেক কিছু শিখেছি। আমি আস্তে আস্তে বেড়েও ওঠছি। ইনশাআল্লাহ আমার ইন্ডাস্ট্রি যদি আরও কাজ করার সুযোগ দেয়, আমি আরও কাজ করব। করতেও চাই। বন্ধুবান্ধব সবাই বিয়ে করে ফেলেছে, তাই বলে আমারও বিয়ে করে ফেলতে হবে— সে রকম পরিকল্পনা নেই। বিয়ে করতে হবে বলে করতে চাই না। বিয়ে তখনই করতে চাই, যখন আসলে মনে হবে, আমি বিয়েটা সত্যি সত্যিই করতে চাই।’