Logo
Logo
×

শিক্ষা

এআই যখন পড়ার বিষয়

Icon

ঢাকা টুডে ২৪ ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৫২ পিএম

এআই যখন পড়ার বিষয়

এআই বা মেশিন লার্নিং বা স্মার্ট প্রযুক্তির মৌলিক বিষয়ই হলো গণিত। গণিতে ভালো না হলে এ সেক্টরে এগোনো কঠিন।

পদার্থবিজ্ঞানেও মৌলিক ধারণা রাখা দরকার। বর্তমানে স্নাতকে এআই নিয়ে পড়ার জন্য কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) সবচেয়ে ভালো। কারণ মেশিন লার্নিং, ডিপ লার্নিং তাত্ত্বিকভাবে সিএসইর সিলেবাসে পড়ে। তবে বিশ্বে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই ডেটা সায়েন্স নামে আলাদা ডিগ্রি আছে, কোথাও কোথাও মেজর করা যায়। ডেটা সায়েন্স নিয়ে পড়লেও এআই বা মেশিন লার্নিংয়ে অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। গণিত বা পরিসংখ্যানে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েও এআই-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়াশোনা করা যাবে। তা ছাড়া এআইয়ের ব্যবহারিক অনেক দিক রোবোটিকস, ইলেকট্রনিকস, আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস), স্মার্ট প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই তড়িৎ প্রকৌশলে পড়েও এগোনো যাবে। কারও যদি ছোটবেলা থেকেই গণিতে ভালো দখল থাকে, প্রোগ্রামিং ভাষা (যেমন জাভা, পাইথন, সি প্লাস প্লাস) জানা থাকে, সে নিশ্চয়ই অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকবে।

পৃথিবীর অনেক দেশেই ডেটা সায়েন্স থেকে শুরু করে এআই-নির্ভর নানা বিষয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেওয়া হয়। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়, কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটিসহ বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব ডিগ্রি আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতেও (এমআইটি) আছে বিশেষ কোর্স।

বাংলাদেশে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তাদের পড়ালেখায়ও এআই বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে। পড়ালেখার পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে গবেষণা বা প্রকল্প তৈরির ক্ষেত্রেও শিক্ষার্থীরা এআই নিয়ে কাজ করছেন। গত বছর থেকে ঢাকার ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ডেটা সায়েন্সের ওপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কোর্স চালু হয়েছে। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিও দিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর ‘মেজর’ করার সুযোগ। এআই নিয়ে পড়াশোনা এখন সময়ের দাবি। মেডিকেল, প্রকৌশলসহ সব বিষয়ে যেমন পরিসংখ্যানের দরকার হয়, একইভাবে সব সেক্টরেই এআইয়ের ব্যবহার হচ্ছে। সমুদ্র গবেষণা থেকে আকাশ গবেষণা, এর প্রয়োগ উন্নত বিশ্বজুড়েই প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশেও তার ছোঁয়া লেগেছে।

চাকরির বাজার কেমন

ধীরে হলেও দেশের নানা পর্যায়ে এআই-সংশ্লিষ্ট চাকরির চাহিদা বাড়ছে। উদ্যোক্তা পর্যায়ে অনেকে কাজ করছেন। অনেকে নিজেদের প্রতিষ্ঠান খুলছেন। বিভিন্ন খাতে নতুন করে সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের চাহিদা বেড়েছে। বিশেষ করে পুরোনো সফটওয়্যারগুলোকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আওতায় আনতে সংশ্লিষ্ট এআই, এমএল, ডেটা সায়েন্স প্রকৌশলীদের চাহিদা বেড়েছে। পড়ালেখা, গবেষণা, প্রকল্পে কাজ করাসহ নানা ক্ষেত্রে এআই-সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা থাকলে এখন দেশের বাইরে বৃত্তি বা তহবিল পেতেও সুবিধা হচ্ছে বলে জানালেন প্রকৌশলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।


ঢাকা টুডের একটি প্রকাশনা

অনুসরণ করুন