Logo
Logo
×

ব্যবসা ও বাণিজ্য

তাজরীন অগ্নিকাণ্ডের এক যুগ, কারখানার মালিকসহ দোষীদের বিচার দাবি

Icon

ঢাকা টুডে ২৪ ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৩ পিএম

তাজরীন অগ্নিকাণ্ডের এক যুগ, কারখানার মালিকসহ দোষীদের বিচার দাবি

‘বিচারহীনতার ১২ বছর, তাজরীনে শ্রমিক হত্যা: আগুন ও প্রাণের গল্প’ শীর্ষক সংকলনের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।

ঢাকার আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে ১২ বছর আগে তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১১ শ্রমিক পুড়ে মারা যান। আহত হন আরও অনেক শ্রমিক।

মর্মান্তিক এই ঘটনায় মালিকপক্ষের বড় ধরনের গাফিলতি ছিল। আগুন লাগার পরপরই কারখানার তৃতীয় তলার ফটকে তালা মেরে দেওয়া হয়েছিল। এখনো এই ঘটনায় কাউকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি।

‘বিচারহীনতার ১২ বছর, তাজরীনে শ্রমিক হত্যা: আগুন ও প্রাণের গল্প’ শীর্ষক সংকলনের মাধ্যমে পোশাকশিল্পে দুর্ঘটনায় বিচারহীনতার বিষয়টিকে আবারও নতুন করে সামনে আনল বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি। সংকলনটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা তাজরীন ফ্যাশনসের কারখানা মালিক দেলোয়ার হোসেনসহ দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। একই সঙ্গে ক্ষতিপূরণ আইন সংশোধন ও তাজরীনের ঘটনায় আহত শ্রমিকদের কার্যকর পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণেরও দাবি জানানো হয়।

আজ শুক্রবার রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবনে সংকলনটির মোড়ক উন্মোচন করেন তাজরীনে নিহত শ্রমিক শাহ আলমের মা সাহারা খাতুন এবং নিহত শ্রমিক হেনা আক্তারের মা রোকেয়া খাতুন।

বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সহসভাপ্রধান অঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহিম চৌধুরী। আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিনা লুৎফা, লেখক কল্লোল মোস্তফা, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এবং গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার। সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, নারী সংহতির সাধারণ সম্পাদক অপরাজিতা চন্দ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত বাস্তবতায় শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে এখনো ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কাজের পরিবেশের মতো দাবিদাওয়া নিয়ে রাজপথে নেমে শ্রমিকদের নিপীড়নের শিকার হতে হচ্ছে। তাই সব শ্রেণি-পেশার নাগরিকদের শ্রমিকদের ন্যায্য সংগ্রামে সংহতি জানিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।


ঢাকা টুডের একটি প্রকাশনা

অনুসরণ করুন