ফেলানী হত্যার ১৪ বছর
মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে কাঁদলেন ফেলানীর মা

ঢাকা টুডে ২৪ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৮ পিএম

সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণজমায়েতের আয়োজন করে মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’।
‘সরকার যদি বিচারটা করত, তাইলে আমার মেয়ের মতোন আর কোনো মায়ের সন্তানের এমন অবস্থা হতো না। কিন্তু ওই (আওয়ামী লীগ) সরকার বিচার করে নাই। নতুন সরকার কিছুতেই যেন ভারতকে ছাড় না দেয়, আমার ফেলানী হত্যার বিচারটা যেন সুষ্ঠুভাবে করে।’
কিশোরী ফেলানী খাতুন হত্যার বিচার চেয়ে গণজমায়েতে কান্নায় ভেঙে পড়েন মা জাহানারা বেগম। ফেলানী হত্যার ১৪তম বার্ষিকীতে সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ গণজমায়েতের আয়োজন করে মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’।
গণজমায়েতে গান ও কবিতার মাধ্যমে স্মরণ করা হয় কিশোরী ফেলানীকে। এ সময় ফেলানীসহ দেশের নাগরিকদের নির্যাতন ও গুম-খুনের বিচার দাবি করেন তাঁদের স্বজন ও উপস্থিত বক্তারা।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হয় ১৪ বছরের ফেলানী। তার লাশ অন্তত পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল। সেই ছবি দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
গণজমায়েতে উপস্থিত ছিলেন ফেলানীর বাবা নুর ইসলামও। তিনি বলেন, ‘এত দিন আওয়ামী লীগ সরকার আছিল, আমাগো শুধু আশায় আশায় রাখছে। আমার মেয়েকে যারা কাঁটাতারে ঝুলিয়ে মারছে, আমি তাদের বিচার চাই। হত্যাকারীদের শাস্তি চাই।’
ফেলানীসহ সব সীমান্ত হত্যার বিচার দাবি করে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, সীমান্তে বিএসএফ সর্বোচ্চ গ্রেপ্তার করতে পারে, কিন্তু কোনোভাবেই হত্যা করতে পারে না।
গণজমায়েতে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।